Wednesday, June 26, 2019

সড়কে আদনান তাসিন সহ সকল হত্যাকাণ্ডের -বিচার চাই



সড়কে হত্যা এখন বাংলাদেশের প্রধানা সমস্যা বাংলাদেশ হেলথ ইনজুরি সার্ভে(বিএইচআইএস) শিরোনামে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়,তাতে দেখা যায়, প্রতি বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ১৬৬ জন নিহত হন৷ আর তাতে প্রতিদিন গড়ে নিহতের সংখ্যা ৬৪ জন৷কিন্তু প্রসাসনের কর্তা বেক্তি ও নীতি নির্ধারকদের এই বিষয়ে কন মাথা বেথা নাই।সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে একটি স্লোগান আমাদের নিকট খুবই পরিচিত, তা হচ্ছে-“নিরাপদ সড়ক চাই”। কিন্তু নিরাপদ সড়ক তথা সড়কের নিরাপত্তা দিয়ে আমাদের কি লাভ? সড়কের নিরাপত্তা নয়, আমরা নিজেদের নিরাপত্তা চাই। দুর্ঘটনা থেকে মুক্তিসহ রাস্তা চলাচলের পূর্ণ নিরাপত্তা চাই।

রাজধানীর জোয়ার সাহার এলাকায় প্রায় ১৭ বছর ধরে বসবাস করছি আমি আহসান উল্লাহ টুটুল, আমার হীরের টুকরো দুই সন্তান নিয়ে আমার সুখের সংসার, ঐশ্বর্য নেই, অঢেল ধন সম্পদ নেই, বড় বড় অট্টালিকা নেই, কিন্তু আমার সংসারে ছিল, শান্তির বেহেশত, সুখ আর শান্তিতে ভরা, আমার পরিবার, প্রতিরাতেই আমার দুই সন্তানের সাথে ডাইনিং টেবিলে বসে অনেক আলাপই হত, দুই সন্তানই আমার কাছে বন্ধুর মত, সর্বশেষ ১০ই ফেব্রুয়ারী তে রাতে ডাইনিং টেবিলে বসে আদরের ছোট্ট সন্তান আদনান তাসিনের সাথে শেষ কথা, বিশেষত উত্তরায় শিশু ফাইযার মৃত্যু তাকে নাড়া দেয় এবং সাম্প্রতিক সড়কে খুন হত্যা তাকে বিশেষ ভাবে নাড়া দেয়, সে আমাকে বলে আব্বু, সড়কের নৈরাজ্য, হত্যা খুন এইসব নিয়ে ফেইসবুকে লেখতে পারনা, আমি সেইদিনই ফেইসবুকে "সড়কে হত্যা থামাও" পেইজ বানিয়ে, সড়কে হত্যার মিছিল ঠেকাতে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষে কাজ সুরু করি,
অনন্য দিনের মত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সকালে ফজরের নামাজের আযানের সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে ফযরের নামাজ পড়ে, কোরআন তেলওয়াত , কলেজের উদ্দেশে যাত্রা করে, কিভাবে সেই অবুঝ শিশু বুঝবে এই যাওয়া শেষ যাওয়া, আমার সন্তান আদনান তাসিন সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে ফেরার পথে ঘাতক বাস তাকে জেব্রা ক্রসিঙ্গের উপর ঢাকা বমান বন্দর সড়ক শেওড়া বাস স্ট্যান্ড ( আদনান চত্বর) দ্রুতগামি ভ্রামনবারিয়ার উত্তরা পরিবহন তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়, বিভিন্ন  প্রচার মাধ্যম প্রচার করে, রাস্তা পারা পারে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পার হন, আদনান তাসিন ত জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পার পার হচ্ছিল , জেব্রা ক্রসিং আছে কিন্তু সামনে পিছে স্পীড ব্রেকার নাই, কোন ত্রাফিক পুলিশ নাই, কোন সিগন্যাল নাই, আর কোন বিকল্প না রেখে এত বেস্ত রাস্তায় ফুটওভার ব্রিজ কেন ব্রিজটি সরাল ?, এলাকায় এত মানুষ , স্কুল কলেজ  – ডি ও এইচ এস বারিধ্রায় হাজার হাজার অফিস, কেউ প্রতিবাদ করলনা, তাই আজো জাস্তিস পেলাম না, আর পাবও না

ঘাতকরা আমার নিস্পাপ আদরের সন্তান #আদনান_তাসিন কে হত্যা করে, আমি এখনো আমার সন্তানের চিৎকার শুনতে পাই, খুবই কষ্ট হচ্ছে আব্বু! আমায় বাঁচাও!! আমায় বাঁচাও!!! আব্বু, বুকটা ফেটে যাচ্ছে, একটু পানি! পানি!! পানি দাও!!! আব্বু আম্মু তোমরা কোথায়? আমি যে মরে যাচ্ছি, ,হায়না ঘাতক আমাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে!! আব্বু আম্মু তোমরা এসে একটু জড়িয়ে ধরো, আমি তোমাদের বুকে ঘুমতে চাই............ বাতাসে মিলিয়ে যাচ্ছে তার আর্তচিৎকার, পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া মানুষ গুলো তার দিকে তাকাবার সময় কৈ? তার আর্তনাদ শোনার সময় কৈ?? আমার সন্তান তো কারো কিছু হয়না, তাদের সন্তানের তো কিছু হয়নি, তাদের দাঁড়াবার বা তাকাবার সময় কৈ?

হায়নার দল বীরদর্পে আমার নিস্পাপ সন্তানকে ঘাতকের চাকা দিয়ে পীচের রাস্তায় পিসে মারে ......আর দাঁত বের করে হাঁসতে হাঁসতে চলে যায়, সে যানে বাঙালি জাতি মুখে অনেক কিছু কিন্তু বাস্তবে ফেইসবুকের বাঘ ! ঘাতক যদি জেব্রা ক্রসিঙে গাড়ি স্লো করতো বা ব্রেক করত , তবে সে বেঁচে যেতো, ঘাতক যখন দেখল তার পরিধানে #শিক্ষার্থীর পোশাক কাঁধে কলেজ ব্যাগ তখন তার মাথায় - কেমন যেন রাগ বা রুক্ষতা পেয়ে বসে, অতি দ্রুত গামি বাস দিয়ে  জেব্রা ক্রসিং দিয়ে অতিক্রম করতে যাওয়া #আদনান_তাসিন কে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ১০/১২ ফিট দূরে রাস্তায় ফেলে দেয়, তার পর হিংস্র পশুর মত তার উপর ঘাত গাড়ি তুলে দিয়ে - চাকার সাথে পীচের রাস্তায় তাকে পিষে মারে, মনে হয় শিক্ষার্থীর সাথে তার শত জনমের কোন শত্রুতা ছিল .........এমন বর্বর হিংস্র হত্যা পৃথিবীতে আরেকটি নিজির নাই

ঐদিকে  মা তার জন্য ভাত প্লেটে দিয়ে অপেক্ষা করছে আদরের সন্তান এসে ভাত খাবে, মা কিভাবে জানে তার সন্তান বেওয়ারিশ হয়ে রাস্তায় মুখু থুবড়ে পড়ে আছে আর বাঁচতে চাই, বাঁচতে চাই বলে চিৎকার করছে,পানি পানি বলে চিৎকার করছে !পানি পানি বলে চিৎকার করছে !!
কোনো মিডিয়া তার মৃত্যুর খবর প্রচার হয়নি , কারণ, তাদের কলেজ বা সেই কলেজের শিক্ষার্থীরা সবাই চুপ- যেন কোথাও কিছু হয়নি, তার মর্মান্তিক মৃত্যু তাদের মনে মনসামান্নতম দাগও কাটেনি , তারা নুন্নতম কোনোসহানুভুতি দেখাইনি, কোন শিক্ষার্থী ফোনও করেনি, কোন অভিভাবক কোনোসহানুভুতি দেখাইনি, কোন ফোনও করেনি, তারা কেউ প্রতিবাদ করেনি - বরং পর দিন কলেজ বন্ধ রাখে যাতে বিষয়টি নিয়ে বেশি জানা জানি না হয় - এবং পরদিন কলেজ কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষার্থীরা গুজব ছড়িয়ে দেয় - ঘাতক ড্রাইভার হেলপার ধরা পড়েছে - যাতে করে বাহিরের কোনো কলেজের শিক্ষার্থী আমার সন্তানের মর্মান্তিক হত্যার বিচারে রাস্তায় না নামে , হয়তো কলেজ চেয়েছিল , নিজেরা প্রতিবাদ করবে না অন্যরা যেন না করে,

আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে সেন্ট জোসেফ কলেজে যাই প্রিন্সিপ্যালের সাথে কথা বলতে, কিন্তু দেখা পেলাম না, পরে টেলিফোন তাকে সবিনয়ে অনুরধ করি, থানায় একটু ফোন করে আসামিকে ধরার জন্য বলতে , তিনি সরাসরি আমার আনুরধ প্রত্যাখ্যান করেন, অথচ আমার সন্তান যখন খুন হয় তখনো সে বুকে ঝুলিয়ে রেখেছিল সেই কলেজের আইডিকার্ড, শরীরে জড়িয়ে ছিল কলেজ ইউনিফরম, আর সে বারিধারা স্কলারস এ ১৩ বছর অধায়ন করেছে তার প্রিন্সিপ্যাল এর সাথে দেখা করে তাকে অনুরধ করি, থানায় একটু ফোন করে আসামিকে ধরার জন্য বলতে , তিনি সরাসরি আমার আনুরধ প্রত্যাখ্যান করেন, অথচ এই ১৩ বছরে এই প্রতিষ্ঠানে তার অনেক সাফল্য , মেডেল , ট্রফি , সার্টিফিকেট


 আমার দোয়া আশা আমার অভাগা নিষ্পাপ সন্তান ভালো আছে নিশ্চয় ওপারে- সে ভারি মিষ্টি ভারি আদরের, নিষ্পাপ, পবিত্র ! তাকে নিয়ে এভাবে লিখব, বা তাকে এইভাবে হারাতে হবে ভাবিনি, শূয়র- হায়না  শকুন ঘাতকেরা এইভাবে নিষ্পাপ শিশুকে তাদের চাকায় পীচের রাস্তায় পিষে বর্বর নির্মম ভাবে খুন করবে , সবই যেন স্বপ্ন, হয়ত আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আমি আবার আমার নিষ্পাপ সেই পবিত্র মিষ্টি মুখটি দেখব। কেন জানি প্রতিক্ষণ প্রতি মুহূর্তে মনে হয়, ইস সে যদি আমার সামনে এসে আমাকে আব্বু বলে বুকে জড়িয়ে ধরে, বুকের ভিতরের তীব্র যন্ত্রণার ঢেউ হয়ত একটু শান্ত হত, সড়কে ঘাতকের হাতে প্রান হারিয়ে আমার মত কত মা-বাবা আদরের সন্তান হারিয়ে চোখে মুখে কান্নার রোল, আমার কান্নায় যেন শরীরের সকল রক্ত অশ্রু হয়ে বের হয়ে আসতে চায়, কারন কষ্টে চোখের সকল জল আগেই শুকিয়ে গেছে । তবুও স্বান্তনার জন্যই বেদনা ভুলে থাকার জন্য, কষ্ট গুলোকে চেপে রেখে বিভিন্ন জায়গায় লিখি, কেউ আমার ফরিয়াদ শুনে না, মানুষের এত্ত সময় কৈ এইসব লেখা পড়ার , মানুষের এত্ত সময় কথায় অন্নের কষ্টে সমবেথি হবার,
কি অপরাধ করেছিল আমার নিষ্পাপ সন্তান? যার মিষ্টি পবিত্র আদরের মুখ দেখলে মিষ্টি হাসিতে মনের সকল কষ্ট বিলিন হয়ে যায়, আমি আমার হীরের টুকরো দুই সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলাম, প্রতি রাতে শুতে গিয়ে আমি শোকর-আলহামদিলিল্লাহ বলে শুতে যেতাম, আমার স্ত্রী, আমার দুই সন্তান আমার গর্ব , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গর্ব , এলাকার গর্ব,  আমার দুই সন্তান আমার ভালোবাসা , আমার কাছে আল্লাহর রহমত,  আল্লাহার অশেষ মেহেরবানীতে আমার দুই সন্তান মেধাবী ও ইনডোর আউটডোর খেলাধুলা, কালচারাল প্রোগ্রাম, সায়েঞ্চ ফেয়ার সব দিক থেকে  সম ভাবেপারদর্শী, আমার সন্তান শুধু আমার নয় দেশেরও গরব, আমার জ্যেষ্ঠ ছেলে আদনান সামিন বারিধারা স্কলার্স থেকে পিএসসি ও জেএসসি তে জিপিএ-৫ পায়, ২০১৭ সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে, নটারডেম কলেজে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স ২য় বর্ষের ছাত্র এবং কনিষ্ঠ ছেলে আদনান তাসিন,বারিধারা স্কলার্স থেকে পিএসসি ও জেএসসি তে জিপিএ-৫ পায়, ২০১৮ সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে, সেন্ট যোসেফ এ একদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
আমার দুই সন্তানের জন্য কখনো প্রাইভেট টিচার এর প্রয়োজন হয়নি, তার মা’ই ছিল তাদের আদর্শ, তাদের টিচার, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেকেই বলতো একই দুই ভাই মেধাবী, তারা নিয়ম মাফিক লেখাপড়া , কোরআন তেলওয়াত, নামাজ পড়তো, তাদের দুই ভাই ছিল পরম বন্ধুর মত, তারা সব বিষয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করতো, সদা উৎফুল্ল – হাসি খুশি থাকতো দুই ভাই, কোন বিষয়ে তাদের কোনদিন কোন আবদার অভিযোগ ছিলনা, সব টাতে সন্তোষ থাকতো দুই ভাই,
২০১৭ সালে হটাত করে আমি জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্পুরন শরীর পারালাসেস হয়ে যায়, আমি শয্যাশায়ী, ডাক্তার , ঔষধ , ফিজিও, তার পরও মনোবল ভাঙ্গে নি,  দুই সন্তানের কাঁধে ভর দিয়ে দাড়াঁতে শিখেছি, দুই সন্তানের উপর ভর করে হাটঁতে শিখছি, দুই সন্তানের উপর ভর দিয়ে নতুন করে বাঁচতে শিখছিলাম, বাবার হাত ধরে দাঁড়ানোর সৌভাগ্য অনেক সন্তানের হয় – কিন্তু সন্তানের হাত ধরে দাঁড়ানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছে, কিন্তু হায়না শকুন ঘাতক আমার আদরের নিস্পাপ ছোট্টো সন্তানকে নির্মম ভাবে খুন করে, যে সন্তান মানুষকে বাঁচতে শেখায়- সে নিজেই পৃথিবীতে থাকতে পারলো না
     
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার
আমার কলিজার টুকরো নির্মম ভাবে খুন হবার পর এখনো পর্যন্ত নিত্যরাতে তার নিষ্পাপ আদুরী মধুমাখা বার বার চোখে ভেসে উঠে, ইছা হয় এখনি তাকে বুকে নিয়ে ঘুমাই। আর তার গর্ভ ধারিণী মা বার বার আঁচল দিয়ে চোখ মুছে- কোরআন তেলওয়াত নামাজ পড়ে নিষ্পাপ সন্তানের জন্য প্রাথনা করে – নিজেকে নিজে সান্তনা দিতে চেষ্টা করে, বড় ছেলেকে সান্তনা দিতে চেষ্টা করে, কিন্তু কষ্টের কান্না কিছুতেই থামানো যায়না। পরিশেষে আদরের নিষ্পাপ সন্তানের জন্য সকলের কাছ থেকে দোয়া কামনা করছি।


তার অর্জিত সার্টিফিকেট থেকে কয়েকটি ঃ











সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল ৫০ লাখের বেশি চালক অবৈধ


রাজধানীসহ সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক এখন বেপরোয়া যান ও অদক্ষ চালকের দখলে। বেসরকারি পরিসংখ্যানে সারা দেশে যানবাহনের চালকের সংখ্যা ৭০ লাখ। এর মধ্যে বিআরটিএ’র লাইসেন্স আছে ২০ লাখেরও কম। অবশিষ্ট ৫০ লক্ষাধিক অবৈধ ও অদক্ষ চালকই সড়কে নৈরাজ্যের মূল কারণ। ফলে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্য-দুর্ঘটনা। সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া অবৈধ চালকদের কারণে দেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষ আজ অনিরাপদ। খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও সম্প্রতি তার অসহায়ত্ব অকপটে স্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় দুই বাসের প্রতিযোগিতায় রাজীবের কাটা হাতের ছবি এখন দেশের সড়ক পরিবহনের বাস্তব অবস্থার প্রতীক। শুধু রাজীব নয়, বাসচালকদের প্রাণঘাতী প্রতিযোগিতার বলি রোজিনা, আয়শা, শিশু সুমি। এ তালিকায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে কঠোর আইনের আওতায় আনার পরামর্শ তাদের।  
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য মতে দেশে এই মুহূর্তে চলাচল করা বাস, মিনিবাস ও হিউম্যান হলারসহ মোট নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৯। এর বিপরীতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক আছে প্রায় ২০ লাখ। আর বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে বাংলাদেশে ট্রাক-বাস-মিনিবাসসহ যানবাহন চলছে ৪০ লাখের ওপরে। তাদের বক্তব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনিবন্ধিত গাড়ির হিসাব দেশের কোনো সংস্থার কাছেই নেই। ৪০ লক্ষাধিক যানবাহন রাস্তায় চালাতে প্রতিটি গাড়ির জন্য একাধিক চালক প্রয়োজন। সাদা চোখে হিসাব করলে এসব যানবাহন চালাতে সঙ্গে কমপক্ষে ৮০ লাখ চালক প্রয়োজন। সেখানে বৈধ চালক আছে ২০ লাখ। এর মধ্যে অনেকেই মারা গেছে। আবার অনেকে এখন আর গাড়ি চালায় না। তাহলে বাকি সাড়ে ১১ লাখ গাড়ি কারা চালায়? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় অনেক গাড়িই চালাচ্ছে হেলপাররা। যাদের বেশিরভাগের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। অথচ আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে একজন পেশাদার চালকের বয়স হতে হয় কমপক্ষে ২০ বছর। যার কোনোটি না থাকা সত্ত্বেও গাড়িভর্তি যাত্রী নিয়ে চলছে কিশোর চালকরা। লেগুনাগুলো কিশোর চালকরা চালিয়ে যাত্রীদের নিয়ে শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব চালক জানায়, পুলিশকে টাকা দিলেই লাইসেন্স ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চালানোর অনুমতি পাওয়া যায়।
এ ছাড়া দূরপাল্লার গাড়িগুলোর ১ শতাংশ বিআরটিসি নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যক্তিমালিকানায় রয়েছে ৯৯ শতাংশ, যা নিয়ন্ত্রণ করে বেসরকারি মালিকপক্ষ। একজন চালক দিনে বা রাতে কত ঘণ্টা ড্রাইভ করবে বা কতটুকু দূরত্ব পর্যন্ত ড্রাইভ করবে তাও সরকার নির্ধারণ করেনি। ফলে চালক নিজের শরীরের ওপর যখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
এদিকে বিআরটিএ’র এই হিসাব মানতে নারাজ বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিআরটিএ শুধু কাগজের হিসাব থেকে তথ্য প্রকাশ করছে। বাস্তবে বৈধ-অবৈধ গাড়ি মিলিয়ে সারা দেশে ৪০ লাখের বেশি গাড়ির পেছনে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে চালক রয়েছে ৭০ লাখ। তাদের মধ্যে বিআরটিএ’র লাইসেন্স আছে সর্বোচ্চ ১৮ লাখের। বাকিরা অবৈধভাবে গাড়ি চালাচ্ছে। তাদের বক্তব্য, বিআরটিএ যে ২০ লাখ লাইসেন্সধারী চালকের কথা বলছে তাদের অনেকেই মারা গেছে, আবার কেউ কেউ গাড়ি চালায় না।
অবৈধ গাড়ি বলতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ (নিবন্ধন বাতিল) ও অননুমোদিত বাস, লেগুনা, নসিমন-করিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি গাড়ি সারা দেশে যাত্রী পরিবহন করছে। এই চালকদের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নেই।
এদিকে ঢাকার বাস ও হিউম্যান হলার চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিবহন মালিকদের চাপেই তাদের বেপরোয়া গাড়ি চালাতে হয়। কারণ যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য পূরণ করতে না পারলে বেতনও দেন না মালিকরা। এ ছাড়া চালকের লাইসেন্স আছে কি না, গাড়ি দেওয়ার সময় তা দেখেন না মালিকরা।
অন্যদিকে মালিকরা দায় চাপান চালকদের ওপর। তারা বলেন, গাড়ি নিয়ম মেনেই পরিচালনা করতে দেওয়া হয় চালকদের। বেপরোয়াভাবে বাস চালালে জরিমানাসহ চালকের কঠোর শাস্তি চান পরিবহন মালিকরা।
পরিবহন মালিক মিজানুর রহমান বলেন, বেতনভুক্ত চালক দিয়ে লোকাল (বাস) গাড়ি চালালে মালিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে নগরীর অধিকাংশ পরিবহন মালিক তাদের বাস-মিনিবাস চালককে চুক্তিতে চালাতে দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো মালিকই চালকের লাইসেন্স দেখে না। তাছাড়া লাইসেন্স থাকলেও চালকরা চাঁদা ছাড়া গাড়ি চালাতে পারে না। রাস্তায় নামলে প্রতিদিন একটি গাড়িকে ৭শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন চাঁদা দিতে হয়। চুক্তি ও চাঁদার কারণেই চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে সড়কে। কারণ একই রুটের যে বাস আগে শেষ গন্তব্যে পৌঁছবে সে-ই ফিরতি ট্রিপের সিরিয়াল পাবে আগে। এ কারণে একই রুটের বাসের মধ্যেই ভয়াবহ প্রতিযোগিতা দেখা যায়। আর এই প্রতিযোগিতার কারণেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা সড়ক পরিবহন যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আমিন নুরু বলেন, অনেক চালকের বৈধ লাইসেন্স না থাকায় সংগঠনের পক্ষ থেকে অনেকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তাছাড়া চালকের সিংহভাগই অল্প শিক্ষিত। লাইসেন্সপ্রাপ্তির বিষয়টি জটিল। এ কারণে লাইসেন্স নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অনেকে নিতে পারে না। সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর জন্য সব সময় সচেতন করা হচ্ছে।
অপরদিকে বাংলাদেশ ট্রাক কভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির নেতা হোসেন আহম্মেদ মজুমদার বলেন, সড়কে এসব মর্মান্তিক ঘটনা থেকে রেহাই পেতে চালকদের যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি যাত্রী ও পথচারীদেরও সতর্ক হতে হবে। তা না হলে কোনো অবস্থায়ই দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে না।
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সংস্থা থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু এর সফলতা পেতে ট্রাফিক পুলিশকে আরো কঠোর হতে হবে। নইলে বিআরটিএ’র বিদ্যমান জনবল দিয়ে এটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। 
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, গাড়ি নিয়ে চালকদের অসম প্রতিযোগিতার পেছনে অনেক সমস্যা আছে। গাড়ির মালিকদের মাধ্যমে সেগুলোর সমাধান দরকার। কোনো অবস্থায় অদক্ষ চালকের হাতে গাড়ি ছাড়া যাবে না। তাছাড়া পথিমধ্যে বাসে যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়ে থাকে। এটি বন্ধ হওয়া দরকার। আইনের সঠিক প্রয়োগে ট্রাফিক পুলিশকে ইতোমধ্যে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক বলেন, গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে আইনের পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ট্রাফিক পুলিশ, পথচারী ও যাত্রীদেরও আরো দায়িত্বশীল হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
পরিবহন সেক্টরে সংশ্লিষ্টদের মানসম্পন্ন তদারকি নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, অদক্ষ চালকের কারণেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। পেশাদার চালক, যাদের ওপর যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নির্ভর করে তাদের শারীরিক ফিটনেস জরুরি। কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষিত করে এ দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সত্যিকারে সে পরিমাণ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালক নেই। ফলে অদক্ষ চালক ও শ্রমিকের কারণে এখন পরিবহনে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সমিতির পক্ষ থেকে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Saturday, June 22, 2019

STOP ROAD KILLING


আদনান তাসিন হত্যার বিচারের দাবিতে লিফলেট বিতরন!



Stop Road Killing



Want Justice


Stop Road Killing




Want Justice for Adnan Tasin




Innocent Child Adnan Tasin (17 years) was brutally killed while he was crossing the road over zebra crossing at Sawra Point on 11th  February 2019. Earlier here was a foot over bridge  without alternative took away bridge  & here is no any Speed breaker or traffic police or  Traffic signal ,  He was returning from his college St.Joseph . 

One of  Pedestriani, took him to the nearest Government Kurmitola hospital & after spending 1 hour there, they referred  him to Dhaka Medical college without even primary treatment or did something to safe his life,  because they don’t admit the patient of road accident to avoid police case or other issue though this is public hospital. but due to huge traffic -road jam at Banani, could not possible to reach at Dhaka Medical Hospital. It is too far from Air port road and traffic jam , if Kurmitola hospital give treatment then he will safe but they does not, at least they can put oxygen musk 



Today is 22nd June,  132++ days gone, nobody from his former school ( Baridhara, BSI)  & nobody from his college ( St.Joseph Higher Secondary- Mohammodpur ) come forward to raise their voice, to make a procession against the murder of their friend. He was studied in Baridhara -BSI school since Nursery to SSC , he spent his 13 years in this premises. As a human,I expected that at least Tasin’s school mates, his respected teachers will come forward for the justice against the premature death caused by the reckless driving of the driver but nobody did that and even they didn’t come to express their sympathy or to console Tasin’s parents. What we are learning from our school or college ? what we are learning from our society? where is our humanity? where is the voice of our so called civilized people? We are learning from lesson, today Tasin has been killed, tomorrow another Tasin will be killed & the same way everybody will remain silent & the killer will be inspired by this. Tasin did not get justice because his School & college (Student, Teacher, governing body, Guardian) did not protest- against his murder , non of them rage against his murder.

Tasin’s Father’s don't have power ,as he is Garments employee,  don't have money, can't run here and their, it is cool murder as his son while crossing the road through Zebra crossing, although here is no any Speed Breaker, Traffic police or traffic signal.  

I have very simple demand to the society , to the all people,  to the court, to the Government. Tasin’s father do not asking you to return back his son’s life, He is asking the justice of his sons murder. this is his only demand.  I cannot endure that his innocent son is sleeping in graveyard alone while his killer is enjoying his life.      

We want Justice for Adnan Tasin

বিচারহিনতার ১০০তম দিন




যে আদনান তাসিনের ধ্যান ধারনা ছিলো, ভাবনা ছিলো, কর্মকাণ্ড ছিলো, সড়ক হোক নিরাপদ, মৃত্যুর আগের দিনেও সে বাবাকে বলছিলো, আব্বু ফাইজা মাইক্রো চাপায় খুন হয়েছে, আরো ৩জন খুন হয়েছে, আব্বু তুমি এইসব নিয়ে লিখবে ............ আর পরদিনই সে সড়কে নির্মমভাবে খুন হয়,
আমার সন্তানের নির্মম হত্যার ঘাতকদের ধরা হচ্ছে না, বিচার পাচ্ছি না, এই কথাটা আমি কাকে, কার মাধ্যমে জানাবো? তার মৃত্যুর পর তার কলেজ শিক্ষার্থী কোন প্রতিবাদ করেনি, আন্দোলন করেনি, কোন মিডিয়ায় তার মৃত্যুর খবর প্রচার করেনি, আলোচিত হয়নি, তাই নো জাষ্টিজ, তার বাবা আমি ২ বছর যাবৎ শোয্যাশায়ী gbs virus, সর্বশেষ ২১শে মে আমার সন্তান হত্যার বিচারহিনতার ১০০তম দিনে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করি, কিন্তু ২/৪টি অনলাইন পত্রিকা ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা হয়নি, কলেজের কোন শিক্ষার্থী শিক্ষক অভিভাবক মানববন্ধন এ যোগ দেয়নি, কেউ সহানুভূতি ও জানায়নি, প্রিন্সিপাল এর সাথে কষ্ট করে দেখা করতে কলেজ পর্যন্ত গেলেও তিনি দেখা করেন নি,  কয়েকজন শিক্ষার্থী আন্দোলন করতে চাইলে, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বলেন কলেজ থেকে বের করে দিবে,  আমার সন্তান যেদিন খুন হয় তার পরদিন কলেজ বন্ধ রাখে যাতে কোন শিক্ষার্থী আন্দোলন করতে না পারে, ৩য় দিন কলেজ খোলার পরপরই গুজব রটিয়ে দেয়া হয়, ঘাতককে গ্ৰেফতার করা হয়েছে, যাতে করে কোন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ বা আন্দোলন না করে, পূরো দেশের শিক্ষার্থী রা আমার সন্তানের হত্যার বিচার চেয়ে অন্তত ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছে কিন্তু তার কলেজের কোন শিক্ষার্থী তার হত্যার বিচার চেয়ে কোন পোস্ট বা স্ট্যাটাস পর্যন্ত দেয়নি

জেব্রা ক্রসিং মানে কি? শুধুই কি রাস্তায় সাদা রঙের আলপনা ??




অনেকেই জানেন না, নীতি নিরধারক সরকার কেউ কি জানেন জেব্রা ক্রসিং কি? জেব্রা ক্রসিং মানে কি শুধু সাদা রং, যা দেখে নিরাপদ ভেবে মানুষ পার হতে গিয়ে খুন হয়, আসলে এই গুলো হলো, মরন ফাঁদ, অনেকেই ব্যাঙ্গ করে বলেন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে কি হবে, তাদের বলছি, জেব্রা ক্রসিং এর সামনে পিছনে অন্তত স্পিড ব্রেকার থাকতে হয়, নয়তো ট্রাফিক থাকতে হয় , নয়তো ট্রাফিক সিগন্যাল থাকতে হয়, এই সব না বুঝে রামছাগলের মত মন্তব্য করে বসেন, আমি যেই স্থানের কথা বলছি, সেই বিমান বন্দর সড়ক রোড ডিভাইডে দেয়া, ইচ্ছে করলেই মানুষ এই জেব্রা ক্রসিং ছাড়া অন্য স্থান দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে পারবে না, সেই জেব্রা ক্রসিং শুধু মাত্র সাদা রংয়ের দাগ, পথচারী নিরাপত্তার জন্যে কোন স্পিড ব্রেকার নেই, ট্রাফিক নেই, ট্রাফিক পুলিশ নেই, জাষ্ট এটা একটা মরনফাঁদ, এখানে আগে একটা ফুটোওভার ব্রিজ ছিলো, কোন বিকল্প না করে করে, ওভার ব্রিজ সরিয়ে নিল,

মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যার বিচারের দাবিতে মানব্বন্ধন



বিমানবন্দর সড়কের বাসের ধাক্কায় সেন্ট যোসেফ কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আদনান তাসিন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালককে আটক ও বিচারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। রোববার শেওড়া রেলগেট এলাকায় এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে গুলশান ডিগ্রি কলেজ, নিউ লাইফ হাই স্কুল ও প্রাইম ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক অংশ নেন। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঘাতক চালককে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে কেন ওভারব্রিজ সরানো হল? তা পুনঃস্থাপন করতে হবে। জেব্রা ক্রসিংয়ের দুই পাশে স্পিডব্রেকার, ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করতে হবে। সিগন্যাল লাইট, বাস স্টপেজ ও যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করতে হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া প্রাইম ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান প্রিন্স বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে এখান থেকে ওভারব্রিজ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ কারণে একই স্থানে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা আদনান হত্যার বিচার চাই।

আদনানের বাবা আহসান উল্লাহ টুটুল বলেন, দুর্ঘটনার ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ ঘাতক বাসচালককে আটক করতে পারেনি। আমি ঘাতক চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আর কোনো মেধাবী ছাত্র যেন আমার ছেলের মতো দুর্ঘটনার শিকার না হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।
উই ওয়ান্ট জাস্টিস প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়া নিউ লাইফ হাই স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. তানভির হোসেন বলেন, আমরা নিরাপদ সড়ক চাই। স্কুল থেকে নিরাপদে বাসায় ফেরার নিশ্চয়তা চাই।

মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন নির্মম হত্যাকাণ্ড



আদনান তাসিন ; স্বপ্ন দেখতো অনেক বড় হবে। St. Joseph Higher Secondary School এ একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়ন করছিল। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি তে জিপিএ ৫ পাওয়া একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন।

এসময়ের সড়কে দুর্ঘটনার নামে হত্যা নৈরাজ্য দেখে আতঙ্কিত ছিল সে। সর্বশেষ(১০ ফেব্রুয়ারি) বাবার সাথে রাতের খাবার খেতে বসে বাবাকে বলেছিল, 'আব্বু তুমি তো ফেইসবুকে লেখালেখি কর, সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের জন্য কিছু লিখতে পারো না।'
বাবা তখন চুপ করে শুধু কথাগুলো শুনেছিল।

তারপর সব ঠিকই চলছিল। সকালে আদনান কলেজে গেল। তবে, কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমান বন্দর সড়কে জোয়ার সাহারা(শেওড়া) বাস স্ট্যান্ডে রাস্তা পারাপারের সময় একটা দ্রুত গতিতে ঘাতক বাস পিষে দিল এক রাশ স্বপ্নকে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই বাবা জানতে পারে সড়ক দূর্ঘটনায় তার বুকের মানিক মৃত্যু হয়েছে। আকাশ ভেঙ্গে পড়লো বাবা আহসানুল্লাহ'র মাথা।
 
মৃত্যু হয়েছে! হ্যাঁ পুলিশ বলেছে, মৃত্যু দুর্ঘটনায় হয়েছে। তবে, আমি(ইনজামুল) বলছি, 'এটা দুর্ঘটনা নয়, হত্যা হয়েছে, আর পুলিশ শাক দিয়ে মাছ ডাকছে।'

শেওড়া বাস স্টপ, এখানে একসময় সড়ক পারাপারের জন্য ছিল ফুটওভারব্রিজ। যতদূর তথ্য পেয়েছি মেট্রো রেল এর কাজের জন্য ফুটওভারব্রিজটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। [সূত্র: নিউজ২৪ টিভি]

তবে সাধারণ পথচারীদের চলাচলের জন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থাই রাখা হয়নি সেখানে। শুরু হয় জনদুর্ভোগ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার মাঝের ডিভাইডার ডিঙিয়ে পারাপার করতে হতো পথচারীদের। ফুটওভার ব্রিজটি সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে গত ৭ জুলাই শেওড়ায় মানববন্ধন করেছে সাধারণ পথচারীরা।[সূত্র: যুগান্তর, সমকাল]

তার কিছুদিন পর সারাদেশ জুড়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। যার একটু সুফল পায় শেওড়া বাস স্টপে প্রতিদিন রাস্তা পারাপারকারী পথচারীরা। পথচারীদের পারাপারের জন্য রাস্তার ডিভাইডার ভেঙে রাস্তায় সাদা রং এর দাগ টেনে জেব্রা ক্রসিং তৈরি করে দেয়া হয়।

হ্যাঁ‌। সেই জেব্রা ক্রসিং দিয়েই রাস্তা পারাপার করছিল আদনান তাসিন এবং ঘাতক বাস অতি গতিশীল ছিল। [সূত্র: প্রত্যক্ষদর্শী]

প্রথমতঃ আমি দাবী করছি তাসিন কে হত্যা করা হয়েছে। কারণ তাসিন কে পিষে যাওয়া উত্তরা পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব ১১-৪৫৮৪ নম্বর বাসটি জেব্রা ক্রসিংয়ে গতি কমায় নি। সুতরাং চালক আইন মানেনি এবং একজনকে হত্যা করেছে।
দ্বিতীয়তঃ দুর্ঘটনার পর পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করে এবং দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা বাসটি আটক করে। পরবর্তীতে তাসিনের বাবার শক্ত অবস্থানের কারণে আরেকটি মামলা নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু ঘটনার প্রায় বিশ দিনেও আসামি গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থতা পরিচয় দিয়েছে তারা।

পুলিশ বলেছে, এই দুর্ঘটনার পর কোন আন্দোলন হয় নি, এসবে মামলা করে যথাযথ বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সেহেতু পুলিশ তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করেনি।

#বর্তমানঃ
আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আর তাই হত্যার বিচারের জন্য পুলিশের ভাষ্য অনুসারে তিনি আন্দোলন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
#প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন, বিচার পেতে যদি আন্দোলনের প্রয়োজন হয় তাহলে বেতন দিয়ে বলদ পোষার কি দরকার?

জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২





জয়পুরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার সকালে আক্কেলপুর উপজেলার কানুপুর ও দুপুরে ক্ষেতলাল উপজেলার দাশরা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার জামালপুর চারমাথা এলাকার মৃত শহিদ মন্ডলের ছেলে ভটভটি চালক আব্দুস সালাম ও ক্ষেতলাল উপজেলার মিনিগাড়ি গ্রামের এমরান হোসেনের ছেলে শিশু তানভির হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভটভটি বোঝাই মুরগি নিয়ে সালাম জয়পুরহাট শহরের দিকে আসছিলেন। কানুপুর গ্রামের অরক্ষিত রেলগেট অতিক্রম করার সময় রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ভটভটিটি ছিন্নভিন্ন হয়ে রেললাইনের পাশে পড়ে যায়। এ সময় ভটভটি চালক সালাম ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

অপরদিকে দুপুরে জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মিনিগাড়ি গ্রাম থেকে মামার মোটরসাইকেলের পেছনে বসে শিশু তানভীর একই উপজেলার দাশরা গ্রামে যাচ্ছিল। দাশরা গ্রামে আসা মাত্র তানভির সাইকেল থেকে পড়ে যায়। এ সময় একটি ভটভটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) উজ্জল কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সুন্দরী নারীর দিকে নজর চালকের, বাস উল্টে নিহত ৩


নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামগঞ্জ সড়কে জননী সার্ভিসের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মুন্সির রাস্তার মাথা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন সোনাইমুড়ী উপজেলার নাওতলা গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে ভাঙারি মালের ব্যবসায়ী নুর আলম (৩৫) ও অপরজন বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর গ্রামের মৃদ লেদু মিয়ার ছেলে জাফর আহমেদ। পেশায় তিনি একজন সুইপার।









ওই বাসের যাত্রী আহত ফারুক বলেন, বাসটির চালক তার বাম পাশের সিটে বসা এক সুন্দরী নারীর দিকে বার বার তাকাচ্ছিলেন। এ কারণে তিনি বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
চাটখিল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, বাসটি জেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা থেকে চাটখিলের রামগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মুন্সির রাস্তার মাথা নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে তিনজনের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে আহত যাত্রীদের চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

NEWS REF

মেধাবী ছাত্র আদনান সামিনের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ

ঢাকা| রাত ৮:১৪,শুক্রবার,৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং||২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ||৮ই রবিউস-সানি, ১৪৪১ হিজরী||হেমন্তক...